সাভারে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
প্রতীকী ছবি

ঢাকার সাভারে দৈনিক ফুলকি পত্রিকার সম্পাদকসহ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

গত শুক্রবার রাতে সাভারের বিরুলিয়া এলাকার মো. শাহীনুর ইসলাম নামের এক ব্যক্তি সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। ওই দিনই পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ করে।

মামলার আসামিরা হলেন, দৈনিক ফুলকি পত্রিকার সম্পাদক নাজমুস সাকিব ও আমাদের নতুন সময় পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি মো. ইমদাদুল হক। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও কয়েকজনকে।

শাহীনুর ইসলাম লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২৭ জুলাই দৈনিক ফুলকি পত্রিকার শেষের পাতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে একটি বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রকাশিত হয়। দেশ, রাষ্ট্র ও প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য জামায়াত-বিএনপির কয়েকজন নেতার যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে এ গুজব রটানো হয়েছে। বাংলাদেশের পরিবেশকে অশান্ত করতে ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে চক্রটি।

মামলার বিষয়ে নাজমুস সাকিব প্রথম আলোকে বলেন, ২৬ জুলাই রাতে পত্রিকার পৃষ্ঠাসজ্জা অনুযায়ী শেষ পাতায় কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের সংবাদটি দেওয়া হয়। ওই সংবাদে ভুলবশত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি যুক্ত করা হয়, যা পরদিন ২৭ জুলাই ছাপা হয়। ভুল সংশোধন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে ২৮ জুলাই সংশোধনী প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তারপরও সাভার মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

নাজমুস সাকিব বলেন, ‘আশ্চর্যজনকভাবে এ মামলায় আমার সঙ্গে অন্য একটি পত্রিকার সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে। এভাবে সংবাদপত্রের কণ্ঠ চেপে ধরার চেষ্টা করা হলে দেশে সংবাদপত্র প্রকাশ ও সাংবাদিকতা করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে।’

দৈনিক ফুলকি পত্রিকার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক না থাকলেও মামলার আসামি হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে দৈনিক ফুলকির কোনো সম্পর্ক নেই। মামলায় আমি কীভাবে আসামি হলাম, সেটিই বোধগম্য নয়। বিষয়টি আইনগতভাবেই মোকাবিলা করব।’

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফুলকি পত্রিকার সম্পাদক ও এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।

আরও পড়ুন