মৌলভীবাজারে ১৮ ও ১৯ নভেম্বর পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
সিএনজিচালিত অটোরিকশার নিবন্ধন বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌলভীবাজার জেলায় দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি। ১৮ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ছয়টা থেকে ১৯ নভেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এই ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
১৯ নভেম্বর বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে দেশের কয়েকটি এলাকায় বিএনপির গণসমাবেশের আগে এভাবেই নানা দাবিতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল।
বুধবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ধর্মঘটের কথা জানানো হয়েছে। ধর্মঘটের সময় জেলার সব সড়কে বাস-মিনিবাস, ট্রাক, ট্যাংকলরিসহ পণ্যবাহী সব যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার বিকেলে শহরের বেরিরপাড়ে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি, মৌলভীবাজার জেলা মিনিবাস মালিক গ্রুপ, চাঁদনীঘাট বাস মালিক সমিতি, শ্রীমঙ্গল-শমসেরনগর বাস মালিক সমিতি, বড়লেখা মোটর বাস মালিক সমিতি, জুড়ী মোটর বাস মালিক সমিতি এবং মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যৌথ উদ্যোগে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার নিবন্ধন বন্ধ, সিএনজিচালিত অটোরিকশার সামনে গ্রিল লাগানো, ব্যাটারিচালিত টমটমের অবৈধ চলাচল বন্ধ, ট্রাক-ট্যাংকলরি, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যানে চাঁদাবাজি, পুলিশি হয়রানি বন্ধ, মৌলভীবাজারে একটি স্থায়ী ট্রাকস্ট্যান্ড নির্মাণের দাবিতে ধর্মঘট ডাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৮ নভেম্বর সকাল ছয়টা থেকে ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলার সব সড়কে বাস-মিনিবাস, ট্রাক-ট্যাংকলরিসহ সব ধরনের পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রশিদ উদ্দিন আহমদ। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা মিনিবাস মালিক গ্রুপের চেয়ারম্যান আসাদ হোসেন, চাঁদনীঘাট বাস মালিক সমিতির সভাপতি আনসার মিয়া, জেলা ট্রাক লরি, কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান অদুদ, মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমদ, শ্রীমঙ্গল-শমসেরনগর বাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বুধবার সন্ধ্যায় রশিদ উদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘অবৈধ সিএনজি বন্ধ করার জন্য অতীতেও আমরা ধর্মঘট করেছি। একটা সিএনজি তিনজন প্যাসেঞ্জার নেওয়ার কথা, নেয় পাঁচজন। এতে দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ট্রাক, ট্যাংকলরির স্থায়ী স্ট্যান্ড নেই। স্থায়ী স্ট্যান্ড নির্মাণ করা ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে আমরা এই ধর্মঘট ডেকেছি।’