শ্বশুরের দাফনের পর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলেন পুত্রবধূ

মরদেহ
প্রতীকী ছবি

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মির্জা রফিকুল ইসলাম (৭০)। লাশে বাতাস দেওয়ার জন্য ভাড়া করে আনা হয়েছিল একটি স্ট্যান্ড ফ্যান। লাশ দাফনের পর সেই ফ্যানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলেন পুত্রবধূ জান্নাতুল আক্তার (২৫)।

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকায় মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহত গৃহবধূ জান্নাতুল আক্তার মির্জাপুর এলাকার মির্জা আল মামুন ওরফে বাবুর স্ত্রী। তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

পরিবারের বরাত দিয়ে মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার সাদাত বলেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মির্জা রফিুকল ইসলাম (৭০) গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে তাঁর লাশ বাড়িতে আনার পর বাতাস দিতে স্থানীয় ডেকোরেটর থেকে একটি বৈদ্যুতিক স্ট্যান্ড ফ্যান ভাড়া করে আনা হয়। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে পারিবারিক গোরস্তানে তাঁকে দাফন করা হয়। বিকেলে বাড়িতে আসা স্বজনদের জন্য ঘরের বারান্দায় ফ্যানটি চলছিল। সন্ধ্যার দিকে জান্নাতুল আক্তার বারান্দা ধোয়ামোছা করতে গেলে ফ্যানটি তাঁর হাতের ওপর পড়ে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মির্জা আল মামুনের চাচাতো ভাই মির্জা আজিজুর রহমান বলেন, ‘একটা বাড়িতে একসঙ্গে দুইটা মৃত্যু মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের। আজ রোববার দুপুরে জান্নাতুলকে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হবে।’

জান্নাতুল আক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় আটোয়ারী থানায় অপমৃত্যুর মামলা (ইউডি) হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া জানান, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।