কসবার তিন ইউনিয়নের সাড়ে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী, সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কসবা-নয়নপুর সড়কের বায়েক মোড়ের এই অংশ গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে পানির ঢলে ভেঙে যায়। এ কারণে আঞ্চলিক এই সড়কে কুমিল্লার সঙ্গে কসবাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরের ছবিছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উপজেলার তিন ইউনিয়নের ২৬টি গ্রামের ২ হাজার ৩৫০ পরিবারের ১৫ হাজার ৫০০ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। কসবা-নয়নপুর সড়কের বায়েক মোড় ভেঙে যাওয়ায় আঞ্চলিক সড়কে কুমিল্লার সঙ্গে কসবাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যোগাযোগ বন্ধ আছে। পাশাপাশি তিন ইউনিয়নের অধিকাংশ সড়ক পানিতে তলিয়ে যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

কসবা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গতকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানিতে কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী বায়েক, গোপীনাথপুর ও কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের ২৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে সাড়ে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। তাঁদের জন্য উপজেলায় ১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এগুলোয় ইতিমধ্যে ৩৫০টি পরিবারের ১ হাজার ৭৫০ জন আশ্রয় নিয়েছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত বড় বড় চারটি নৌকায় কসবার তিন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে থেকে বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করা হয়েছে। সাড়ে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী আছেন। তবে তাঁরা আশ্রয়কেন্দ্র, উজান, প্রতিবেশী ও পাশের বাড়ির আত্মীয়ের দালানের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নিয়েছেন। যাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁরা নিজেদের পছন্দমতো অন্যত্র চলে গেছেন।

কসবা উপজেলার বায়েক, কাইয়ুমপুর ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ২৬ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বায়েক ইউনিয়নের বায়েক গ্রামে পানিবন্দী পরিবারের সদস্যদের উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করেন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তোলা ছবি
ছবি: সংগৃহীত

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার প্রথম আলোকে বলেন, আঞ্চলিক সব সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে পানি নামতে শুরু করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কসবার সালদা নদীর পানি পরিমাপ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। সেখানে কী পরিমাণ পানি বেড়েছে, তা বলা কঠিন।’