অবশেষে রোয়াংছড়ির প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় মামলা
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শ্রমিক জামাল হোসেনকে (২৬) আসামি করে আজ বৃহস্পতিবার কিশোরীর ভাই রোয়াংছড়ি থানায় এই মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর ওই কিশোরী আজ দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে। জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আরও একটি ধর্ষণের মামলাসহ মোট তিনটি মামলা রয়েছে বলে রোয়াংছড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার পাড়ার কার্বারিসহ (পাড়াপ্রধান) কয়েকজন ব্যক্তি কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনার সামাজিকভাবে বিচার করেন। বিচারে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কার্বারির সামাজিক বিচারের কারণে অভিযুক্ত জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজি ছিলেন না কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। এ জন্য গতকাল বুধবার কোনো মামলা হয়নি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরী গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে পাড়ার শ্মশানঘাটে যায়। সেখানে একা পেয়ে জামাল হোসেন তাকে টেনেহিঁচড়ে জঙ্গলে নিয়ে যান। ধর্ষণের চেষ্টার সময় কিশোরীর চিৎকার শুনতে পেয়ে লোকজন এগিয়ে গেলে জামাল হোসেন পালিয়ে যান। পরের দিন সকালে জামাল হোসেন ফিরে এলে গ্রামবাসী তাঁকে আটক করেন।
নারী অধিকার নেত্রী ডনাইপ্রু নেলী বলেছেন, একজন প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের মতো বিষয়ে মামলা না হওয়ার বিষয়টি তাঁরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলেন। এ জন্য ওই পাড়ায় গিয়েছিলেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তাঁরা মামলা করতে রাজি হন।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর হোসেন জানিয়েছেন, গতকাল পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে রাজি না হওয়ায় জামাল হোসেনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন, জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বান্দরবান সদর থানায় ধর্ষণসহ আরও তিনটি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও আছে। জামাল হোসেনের বাড়ি পটুয়াখালীর দশমিনায় হলেও দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবান জেলা শহরের ওয়াপদা ব্রিজ এলাকায় থাকেন তিনি।