জামালপুরে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতার অভিযোগ তুলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রদের বিক্ষোভ

জামালপুর শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। আজ রোববার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতার অভিযোগ তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা জামালপুর শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট থেকে এখন পর্যন্ত (বিকেল ৪টা ) শহরের দয়াময়ী এলাকায় এ কর্মসূচি চলছে।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার না করা, আদালত থেকে দ্রুত জামিন পাওয়া, ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের দ্রুত বিচারের দাবি ও স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতার অভিযোগ তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা দুপুর ১২টার দিকে জামালপুর শহরের ফৌজদারি মোড় থেকে একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে দয়াময়ী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে। শহরে ঢোকার ত্রিমুখী সড়কে আন্দোলনকারীরা বসে পড়েন। এ সময় স্থানীয় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।

শহরের দয়াময়ী এলাকায় ত্রিমুখী সড়কে আন্দোলনকারীরা কেউ কেউ বসে ও দাঁড়িয়ে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এ সময় তাঁরা আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাঁরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন। দীর্ঘ সময় ধরে ত্রিমুখী সড়কটি অবরোধ থাকায় তিন পাশেই বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকা পড়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মীর ইসহাক হাসান বলেন, ‘পতিত আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রায় শহরে ঝটিকা মিছিল করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমাদের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে নানা রকম তথ্য দিয়ে সহযোগিতাও করা হয়, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের (আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ) গ্রেপ্তার করছে না। অনেক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী আদালত থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে জামিনও পাচ্ছেন। এসবের কারণে আমাদের সন্দেহ হয়, স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের সহযোগিতা করছে। এসবের প্রতিবাদে আজ এই কর্মসূচি।’ তিনি মাইকে ঘোষণা করেন, ঘটনাস্থলে যে পর্যন্ত এসপি, ডিসি ও জেলা জজ না আসবেন, সেই পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, শুরুতেই সড়ক থেকে তাঁদের সরে যাওয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা এখনো সরে যাননি। আন্দোলনকারীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছে। ঝটিকা মিছিল করার অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের একজনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীদের ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।