২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

আবদুস সাত্তারের সমর্থনে সভা অব্যাহত রেখেছেন কেন্দ্রীয় আ.লীগের নেতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে উকিল আবদুস সাত্তারের সমর্থনে আয়োজিত কর্মিসভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতারা। মঙ্গলবার বিকেলে সরাইল উপজেলায়
ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির দলছুট সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার সমর্থনে এবার প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলার নেতা–কর্মীরা। ‘উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার সমর্থকগোষ্ঠী’র ব্যানারে ‘কর্মিসভা’ আয়োজন করে কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন তাঁরা।

আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা পর্যন্ত সরাইল উপজেলার সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম মিলনায়তনে এক কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন।

এর আগে গতকাল সোমবার আশুগঞ্জে আবদুস সাত্তারের সমর্থনে এক কর্মিসভায় বক্তব্য দেন তিনি। গতকালও সরাইলে কর্মিসভা হয়েছে। এসব সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন

কর্মিসভায় আহমেদ হোসেন বলেন, ‘উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে আগে কেউ চিনত না। এখন সবাই চেনে। আমিও চিনতাম না। জীবনে প্রথম দেখলাম। প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ে গেছি। এখন তিনি নিরপেক্ষ লোক। তিনি বিএনপিরও নন, আওয়ামী লীগের ও জাতীয় পার্টিরও নন। তাঁকে এখন আওয়ামী লীগ চায়, বিএনপি চায়, জাতীয় পার্টিও চায়।’

আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘তারেক রহমানের (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন) বেয়াদবির প্রতিবাদে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে সমর্থন দিয়েছি।’ তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আপনাদের এলাকার মুরব্বির সঙ্গে বেয়াদবি করেছে, তা কি মেনে নেওয়া যায়? বেয়াদবি মেনে নেওয়া যায় না। এ জন্যই আমরা তাঁকে সমর্থন দিয়েছি। নাম দিয়েছি “উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সমর্থকগোষ্ঠী”।’

কর্মিসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীও বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, ‘আসন্ন উপনির্বাচনে আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে কলার ছড়া প্রতীকে ভোট দিয়ে ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবেন। আমি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে সমর্থন করি। আমার আগে যাঁরা যা যা বলেছেন এবং আমার পরে প্রধান অতিথি যা বলবেন, সবগুলোর সঙ্গে আমি একমত। কিছু লোক আছে যাঁদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নাই, তাঁরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মেসেজ পাঠিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। এই বিভ্রান্তি দূর করতে, একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে, একজন সাহসী মানুষ হিসেবে যিনি তারেক রহমানের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় এই পড়ন্ত বয়সেই মাথা উঁচু করে আপন অস্তিত্বের ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁকে আমি সমর্থন করি।’

সভায় সব বক্তাই উকিল আবদুস সাত্তারের পক্ষে ‘কলার ছড়া’ প্রতীকে ভোট চেয়েছেন। আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া তাঁর দুই মিনিটের বক্তৃতায় সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। তবে তাঁর কথাগুলো অস্পষ্ট ছিল। ঠিকমতো বোঝা যায়নি।

সভায় সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন সভাপতিত্ব এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুর সঞ্চালনা করেন।

আরও পড়ুন

এতে আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা ওরফে নাজমা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের তিন নেতা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান আনসারী, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান, জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহনুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রোকেয়া বেগম প্রমুখ।