নড়াইলে সিপিবির শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতন্ত্র জাগরণ যাত্রা

সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, গ্রাম শহরে রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনপদ্ধতিসহ নির্বাচনব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার নড়াইলে শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতন্ত্র জাগরণ যাত্রা করেছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)ছবি: প্রথম আলো

সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, গ্রাম শহরে রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনপদ্ধতিসহ নির্বাচনব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবিতে নড়াইলে শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতন্ত্র জাগরণ যাত্রা করেছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের আদালত সড়ক থেকে তাঁদের হেঁটে যাত্রা শুরু হয়। এ সময় শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দাবিদাওয়া–সংবলিত প্রচারপত্র বিতরণ ও পথসভা করেন তাঁরা। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নড়াইল জেলা শাখা এ জাগরণ যাত্রার আয়োজন করে।

এ সময় বক্তব্য দেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুজ্জামান লায়েক, নড়াইল জেলা সভাপতি ও খাশিয়াল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বি এম বরকত উল্লাহ, সদস্য সঞ্জিত রাজবংশী, শেখ সুলতান ও আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসন জনগণের বুকের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে চেপে বসেছিল। ছাত্র-জনতার অপ্রতিরোধ্য লড়াইয়ে সেই দুঃশাসনের অবসান ঘটেছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে মানুষ মরণপণ লড়াই করেছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শ্রমিকেরা অকাতরে জীবন দিয়েছেন। সহস্রাধিক মানুষের বীরোচিত আত্মদানের বিনিময়ে দেশে এখন কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উন্মেষ ঘটেছে বৈষম্যবিরোধী চেতনার। মানুষ পেয়েছে মুক্তির স্বাদ।

তাঁরা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত জনতার বিজয়ের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এর জন্য কালক্ষেপণ না করে প্রয়োজনীয় গণতান্ত্রিক সংস্কার করতে হবে।

শেখ সুলতান বলেন, মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তিন মাস পার হলেও সিন্ডিকেটের হাত থেকে দ্রব্যের দাম কমাতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের জনগণ কী চায় সরকারের বুঝতে হবে। জনগণের চাওয়া-পাওয়ার ওপর ভিত্তি করে সংস্কার করতে হবে।

বি এম বরকত উল্লাহ বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার ভিত্তি ও কাঠামো উপড়ে ফেলতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় শোষণ-বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জনগণের লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। জনগণের প্রকৃত রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে। দেশপ্রেমের অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ বাম-প্রগতিশীল দেশপ্রেমিক ও প্রকৃত গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে বিকল্প সরকার কায়েম করতে হবে।