ছয় মাস পর ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দরে এল কাঁচা মরিচ
ছয় মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ভারত থেকে কাঁচা মরিচবোঝাই একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করে।
হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারী পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, হিলি স্থলবন্দরের মেসার্স আশা বাণিজ্যালয় নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ৯ মেট্রিক টন ৮৪০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি করে। কাঁচা মরিচবোঝাই ট্রাকটি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড চত্বরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে কাঁচা মরিচগুলোর জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
আশা বাণিজ্যালয়ের মালিক বাবুল শেখ বলেন, দেশে কাঁচা মরিচের চাহিদা থাকায় ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৯ টন ৮৪০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। এসব কাঁচা মরিচ ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থেকে এসেছে। পরিবহন খরচ, শুল্ক ও অন্য খরচসহ প্রতি কেজি কাঁচা মরিচে প্রায় ৮০ টাকা খরচ পড়েছে। এসব কাঁচা মরিচ রাতে রাজধানী ঢাকা শহরে পাঠানো হবে।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ গত বছরের ২১ নভেম্বর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুটি ট্রাকে ১৭ টন ৬০০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়। এরপর প্রায় ছয় মাস ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। পরে দেশে কাঁচা মরিচের উৎপাদন বৃদ্ধি ও স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমে যায়।
চলতি বছরের ১ এপ্রিল সকালে বিরামপুর পৌর শহরের নতুনবাজার এলাকায় সবজির পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি হাইব্রিড জাতের (অনল-১৭০১ ও বিন্দু) কাঁচা মরিচ প্রকারভেদে ১২ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। তবে এপ্রিলের শেষের দিকে সারা দেশে তাপপ্রবাহের কারণে কাঁচা মরিচের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে উৎপাদনও কমে যায়। ফলে মরিচের দাম আবার বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে বিরামপুরের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বিরামপুর পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকায় সবজির পাইকারি বাজারের কাঁচা মরিচের ব্যবসায়ী মানিক হোসেন বলেন, ‘খরার কারণে এলাকায় কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমেছে। এতে করে বাজারেও সরবরাহ কমে গেছে। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ পাইকারি ৮০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ (জাত-বিন্দু) ১১০ টাকা দরে বিক্রি করেছি।’
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত ৯টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার ৬০০ টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) পেয়েছে।