২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

পিরোজপুরে নিহত তরুণের শরীরে ২৮টি কোপের চিহ্ন: পুলিশ

হাসিব বয়াতি
ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের নিহত হাসিব বয়াতির (২৫) শরীরজুড়ে ধারালো অস্ত্রের ২৮টি কোপের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। গলায়, পেটে ও দুই পায়ে কয়েকটি জখম ছিল গুরুতর। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায়।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের বাড়ি থেকে হাসিব বয়াতিকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে সড়কের পাশে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হাসিব বয়াতিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত হাসিব বয়াতি কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের ইউনুস বয়াতির ছেলে।

কাউখালী থানার ওসি মো. জাকারিয়া বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে হাসিব বয়াতিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপির সাবেক এক সদস্যের সঙ্গে বিরোধের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কাউখালী থানায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন। নিহত হাসিবের বিরুদ্ধে মারামারি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে একাধিক মামলা আছে।

আরও পড়ুন

এলাকাবাসী ও হাসিবের পারিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মো. মহারাজ মোল্লার সঙ্গে হাসিব বয়াতির পূর্বশত্রুতা ছিল। কয়েক দিন আগে হাসিব বয়াতি মহারাজ মোল্লাকে মারধর করেন। গতকাল সন্ধ্যায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে কয়েকজন ব্যক্তি হাসিব বয়াতিকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর শিয়ালকাঠি গ্রামের বাবুলের চায়ের দোকানের কাছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়।

শিয়ালকাঠি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক সদস্য মহারাজ মোল্লা ও তাঁর লোকজন হাসিবকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন বলে দাবি করেন নিহতের মা নিরু বেগম। এ ঘটনার পর থেকে মহারাজ মোল্লা পলাতক। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শিয়ালকাঠি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে হাসিব বয়াতির বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হতে পারে। আমার প্রতিপক্ষ এই হত্যাকাণ্ডে আমাকে জড়ানোর জন্য হাসিবের মাকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করাচ্ছেন।’

রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করা রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, লাশের গলায়, পেটে ও দুই পায়ে কয়েকটি গুরুতর জখমের চিহ্নসহ ২৮টি কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঝালকাঠি জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।