জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী পাখি মেলায় নানা আয়োজন

আজ শুক্রবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তন প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে ২২তম পাখিমেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য মো. নূরুল আলম
ছবি: প্রথম আলো

পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ২২তম পাখিমেলা। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তন প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য মো. নূরুল আলম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আয়োজনে পাখিমেলায় দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় আন্তবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরপর পাখিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়। সকাল পৌনে ৯টায় শিশু-কিশোরদের জন্য পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা শুরু হয়, এরপর ধারাবাহিকভাবে টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলার দিয়ে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, পাখিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আন্তবিশ্ববিদ্যালয় পাখি চেনা প্রতিযোগিতা এবং সবার জন্য উন্মুক্ত পাখিবিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা আছে। এ ছাড়া বিগ বার্ড বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড, সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড, কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ও স্পেশাল রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে।

মেলার সহ-আয়োজক হিসেবে আছে ওয়াইল্ডলাইফ রেসকিউ সেন্টার, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, আরণ্যক ফাউন্ডেশন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতি, আইইউসিএন এবং বাংলাদেশ বন বিভাগ।

পাখিমেলায় আসা শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজন করা হয় পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা
ছবি: প্রথম আলো

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. নূরুল আলম বলেন, পাখিমেলায় পাখি থাকতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। তবে পাখি থাকলে আনন্দটা বেড়ে যায়। এখানে বিভিন্ন পাখির ছবি আছে। এসব ছবি দেখে শিশুরা পাখি চিনতে পারবে। তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা অনেকে বলছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখি দিনদিন কমে যাচ্ছে। তবে আমরা পাখি ধরে রাখার চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে পুরোনো রেজিস্ট্রার ভবনের পাশে দুটি লেকে পাখি আসত। এ বছর আমরা যথাসময়ে লেক পরিষ্কার করেছি, কিন্তু পাখি আসেনি।’

আরও পড়ুন

উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে শুক্র ও শনিবার বিভিন্ন বর্ষের পুনর্মিলনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। যেখানে ব্যান্ড নিয়ে এসে গানবাজনা করে শব্দদূষণ করা হতো। পাখি যাতে নিরাপদে থাকতে পারে, সে জন্য আমরা সেসব বন্ধ করে দিয়েছি। শব্দদূষণ আমরা বন্ধ করতে পেরেছি, তবে জনসমাগম বন্ধ করতে পারিনি। আমরা চেষ্টা করছি পাখির আবাসস্থল যাতে নিরাপদে থাকে।’

আরও পড়ুন

২০০০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পাখিমেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব। ২০০৪ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ সরাসরি সম্পৃক্ত হয়। এর মধ্যে ২০১১ ও ২০২১ সালে পাখিমেলা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এ বছর ২২তম পাখিমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।