বেনাপোল দিয়ে গত ৪ দিনে ভারত থেকে এল ৬৪৬ মেট্রিক টন আলু
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত চার দিনে দুটি চালানের মাধ্যমে ৬৪৬ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। ভারতের পাঞ্জাব থেকে মালবাহী ট্রেনে বেনাপোল বন্দরে এসব আলু আনা হয়। এগুলোর প্রতি কেজির মূল্য শুল্কসহ ৩৯ টাকা।
বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে যশোর শহরের বড়বাজারে আজ বুধবার সকালে পুরোনো আলু প্রতি কেজি পাইকারি ৬৫ টাকা ও নতুন আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৮ থেকে ১০ টাকা বেশি ওই আলু বিক্রি হয়।
ভারত থেকে আলু আমদানির প্রভাব খুচরা বাজারে এখনো পড়েনি। তবে কৃষকের খেত থেকে নতুন আলু বাজারে আসতে শুরু করেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আলুর দাম কমে যাবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
যশোর শহরের বড়বাজারের কাঁচা পণ্যের আড়ত সাহা ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী বিধান সাহা বলেন, ‘ভারতের আলু আমদানির প্রভাব বাজারে পড়েনি। তবে মাঠের কৃষকের আলু আসতে শুরু করেছে। গত দুই দিনের তুলনায় আজ বাজার একটু নরম (দাম কম) গেছে। নতুন আলুর ক্ষেত্রে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাম আরও কমে যাবে বলে আশা করছি।’
এদিকে এ বছর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত শনিবার প্রথম চালানে ৪৬৮ মেট্রিক টন ও গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় চালানে ১৭৮ মেট্রিক টন আলু ভারত থেকে আমদানি হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে মালবাহী ট্রেনে দুটি চালানে মোট ৬৪৬ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। এই আলু প্রতি কেজির আমদানি মূল্য ২৭ টাকা ৬০ পয়সা ও শুল্ক ৯ টাকা ১০ পয়সা। এর মধ্যে পরিবহন খরচ ও নষ্ট (ওয়েস্টেজ) মিলিয়ে প্রতি কেজির দাম ৩৯ টাকা পড়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ এই আলু আমদানি করে। আর ভারতের মালদার ডিলাক্স ইন্টারন্যাশনাল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট বাংলাদেশ লজিস্টিক সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড।