চাঁদপুরে কিশোর চালকের লাশ উদ্ধার, খোয়া গেছে অটোরিকশার ৪টি ব্যাটারি

মরদেহপ্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মহিন উদ্দিন (১৬) নামের এক কিশোর অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে বেলুতি গ্রামের একটি খালপাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, শ্বাসরোধে হত্যার পর অটোরিকশাটি ফেলে রেখে এর চারটি ব্যাটারি ও একটি মুঠোফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে সেখানে মরদেহটি ফেলে রাখা হয়।

মহিনের বাড়ি উপজেলাটির ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামে। দুই বোন ও এক ভাইয়ের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল সে। বাবা অসুস্থ থাকায় মহিনের আয়েই তাদের সংসার চলত।

পুলিশ, স্বজন ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল আটটার দিকে নিজের অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় মহিন। যাত্রী আনা-নেওয়ার পর প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলেও গতকাল আর বাড়ি ফেরেনি সে। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনের নম্বরটিও বন্ধ পান স্বজনেরা। পরে গতকাল সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি তাঁরা।

আজ সকালে উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের বেলুতি গ্রামের খালের পাড়ে একটি মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। মহিনকে চিনতে পেরে তাঁরা স্বজনদের কাছে খবর পাঠান। পরে স্বজনেরা সেখানে গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায় এবং আজ সকাল ৯টায় মহিনের লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মহিন উদ্দিনের বাবা নাসির উদ্দিন মিয়াজী বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না। পরিবারের কারও সঙ্গেও কোনো বিরোধ নেই। অটোরিকশার ব্যাটারি ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হতে পারে। এ ঘটনায় তিনি থানায় একটি হত্যা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

ময়নাতদন্তের জন্য মহিনের মরদেহ চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহম্মেদ। তাঁর ধারণা, অটোরিকশার ব্যাটারি ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যই এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।