হিরো আলম বললেন, ‘উপহারের গাড়ি নিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছি’
উপহারের গাড়ি নিয়ে বগুড়ার দুটি আসনের উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী হিরো আলম ঝামেলায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ‘উপহারের গাড়ি নিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছি।’ তাঁর দাবি, উপহারের গাড়ি হস্তান্তরের আগে উপহারদাতা শিক্ষক গাড়িটির ফিটনেস না থাকা ও ট্যাক্স বকেয়া থাকার বিষয়টি তাঁকে জানাননি। আর হবিগঞ্জে গাড়ি হস্তান্তরের সময় মানুষের ভিড়ের কারণে কাগজপত্র সেভাবে দেখার সুযোগ হয়নি তাঁর।
তবে উপহারের গাড়ি ফেরত দেবেন না বলে জানালেন হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘গাড়িটির কাগজপত্র নিয়ে যত জটিলতাই হোক, উপহারের গাড়ি ফেরত দিব না। এটা করলে ওই শিক্ষককে অপমান ও ছোট করা হবে। গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে গরিব মানুষের সেবায় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি, এখন গাড়িটি বৈধভাবে রাস্তায় চলাচল উপযোগী করতে যা অর্থ লাগে, তা খরচ করতে রাজি আছি। তবে যেহেতু গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে, তাই বকেয়া মওকুফ চেয়ে বিআরটিএতে আবেদন করব। দু-এক দিনের মধ্যে কোনোরকমে গাড়িটি বগুড়ায় ওয়ার্কশপে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স বানানোর কাজ শুরু করব। এর মাধ্যমে হিরো আলম ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু হবে।’
হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়া এম মখলিছুর রহমান হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের হাজি আবদুল জব্বার জিএল একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। উপনির্বাচনের এক দিন আগে গত ৩১ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে তিনি হিরো আলমকে নিজের ব্যবহৃত নোয়া মাইক্রোবাসটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন। উপহারের গাড়ি নিতে গত মঙ্গলবার হবিগঞ্জে যান হিরো আলম।
গাড়ির কাগজপত্র দেখে জানা গেছে, নোয়া ১৯৯৮ মডেলের উপহার পাওয়া গাড়িটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই। ২০১৩ সালের ১৮ মার্চের পর থেকে ওই গাড়ির ট্যাক্স বকেয়া আছে। বর্তমানে ওই গাড়ির বিপরীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পাওনা প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।
হিরো আলম ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাসদের এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি। এরপর হিরো আলম অভিযোগ করেন, ভোটের ফলাফলে কারচুপি করে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক ইভিএমের ভোটের প্রিন্ট কপি ও ৪৫টি কেন্দ্রের ভোট পুনর্গণনা চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদনও করেন তিনি। রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর সেই আবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেন। নির্বাচন কমিশনে ন্যায়বিচার না পেলে তিনি ফলাফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করবেন বলে তিনি জানান।