চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু, এক গৃহবধূ হাসপাতালে ভর্তি
চুয়াডাঙ্গা সদর ও দামুড়হুদা উপজেলায় বজ্রপাতে দুজন কৃষক মারা গেছেন। এ ঘটনায় টুনি খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়ন ও দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া দুই কৃষক হলেন সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঝরী গ্রামের দক্ষিণপাড়ার আবদুল মালেকের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫) এবং দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের পাটাচোরা গ্রামের মল্লিকপাড়ার মৃত খেদের আলী মল্লিকের ছেলে আহম্মেদ আলী (৬২)। আহত টুনি খাতুন দামুড়হুদার গোবিন্দহুদা গ্রামের মিলন হোসেনের স্ত্রী। তাঁকে প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মৃতের স্বজনদের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল আলিম জানান, কৃষক আহম্মেদ আলী প্রতিদিনের মতো আজ সকাল আটটার দিকে হাঁটতে বের হন। ঘুরতে ঘুরতে তিনি গ্রামের খড়ের মাঠে গিয়ে পৌঁছালে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। হঠাৎ বজ্রপাতে আহম্মেদ আলীর সারা শরীর ঝলসে যায় এবং তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। স্বজন ও প্রতিবেশীরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একই সময় গোবিন্দহুদা গ্রামের বাড়িতে অবস্থানকালে বজ্রপাতে গৃহবধূ টুনি খাতুন আহত হন।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হেলেনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, আহম্মেদ আলীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। গৃহবধূ টুনি খাতুনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
অন্যদিকে সদরের ঝাঝরী গ্রামের কৃষক রুবেল হোসেনের স্বজনেরা জানান, সকাল থেকে মাঠে কৃষিকাজ করছিলেন রুবেল। ৯টার দিকে বজ্রবৃষ্টি শুরু হলে তিনি দৌড়ে বাড়িকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথে তিনি মারা যান। দর্শনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।