ভৈরবে শৌচাগারে হাত–পা, চোখ–মুখ বেঁধে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, কিশোর গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঈদের দিন রাতে ছয় বছর বয়সী এক ছেলেশিশু বাড়ির সামনের সড়কে হাঁটাহাঁটি করছিল। তখন পরিচিত দুই কিশোর শিশুটিকে ধরে একটি মসজিদের শৌচাগারে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে হাত–পা, চোখ–মুখ বেঁধে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে—এমন অভিযোগে গতকাল বুধবার দুপুরে ভৈরব থানায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে।
মামলার পর পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে।
ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের সদস্যরা বলেন, শিশুটি বাড়িতে গিয়ে কান্না করছিল। একপর্যায়ে মা–বাবা বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে গত মঙ্গলবার শিশুটিকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কিশোর কুমার সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, শিশুটি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
শিশুটির বাবা বলেন, অভিযুক্ত দুজনের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে বিচার চেয়েছেন। কিন্তু কেউ সাড়া দেননি। উল্টো নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। মামলা করায় এখন কেউ কেউ হুমকি দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ সালিসের মাধ্যমে মীমাংসার প্রস্তাব দিচ্ছেন।
অভিযুক্ত এক কিশোরের বাবা বলেন, বিশেষ কোনো কারণে তাঁর ছেলেকে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, শিশুটির পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত দুই কিশোরের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।