সিলেটে প্রচণ্ড গরমে কষ্টে মানুষ

অসনীয় গরমে স্বস্তি পেতকে দুই রিকশাচালক ছায়ায় জিরিয়ে নিচ্ছেন। শ‌নিবার বিকেলে সিলেট নগরের বারুতখানা এলাকায়ছ‌বি: প্রথম আলো

সিলেটে গত ২৩ মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আজ শনিবার সেই তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়িয়ে না গেলেও সিলেটে তাপপ্রবাহ চলছে। আজ এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর এই পরিস্থিতিকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলছে, যা আরও এক দিন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা আছে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। আজ আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, সিলেটসহ দেশের কিছু এলাকায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া ও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছালে মাঝারি তাপপ্রবাহ ধরা হয়। সে হিসেবে সিলেটে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে।

আজ সকাল থেকে সকাল থেকে প্রখর রোদে অস্বস্তিতে পড়েছেন সিলের নগরের বাসিন্দারা। বিশেষ করে ভোগান্তি পোহান পথচারী ও দিনমজুরেরা। অনেকেই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রাস্তাঘাটে তেমন বের হননি। নগরের রাস্তায় মানুষ কম দেখা গেছে। নগরের অভ্যন্তরে চলাচল করা যানবাহনের সংখ্যাও কম ছিল।

আজ বেলা ৩টার দিকে নগরের জেল রোড এলাকায় ছায়ায় দাঁড়িয়েছিলেন রিকশাচালক মানিক মিয়া। আলাপকালে তিনি বললেন, সকাল থেকে রিকশা চালিয়ে ২২০ টাকা আয় করেছেন। এর মধ্যে পানি ও শরবত খেয়ে ৫০ টাকা খরচ করেছেন। গরমের জন্য রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। রিকশায় প্যাডেল ঘোরাতে গেলেই গলা শুকিয়ে যাচ্ছে।

সিলেট নগরের বারুতখানা এলাকার ব্যবসায়ী ইমন আহমদ বলেন, বৃষ্টি হলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এখন দুই দিন ধরে টানা কড়া রোদ উঠছে। এতে সবাই হাঁসফাঁস করছেন। এমন অবস্থায় ঠান্ডা পানি ও কোমল পানিয়ের কদর বেড়েছে।