কনটেইনারে মালয়েশিয়ায় যাওয়া কুমিল্লার সেই কিশোর রাতুলের মৃত্যু
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনারে করে মালয়েশিয়ায় যাওয়া কুমিল্লার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোর রাতুল ইসলাম ফাহিম (১৪) পানিতে ডুবে মারা গেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে নেমে ডুবে গিয়ে তার মৃত্যু হয়।
রাতুল ইসলামের বাড়ি মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের দিনমজুর ফারুক মিয়ার ছেলে।
গত ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম থেকে কনটেইনারে করে মালয়েশিয়ায় চলে যায় রাতুল। ১৭ জানুয়ারি তাকে উদ্ধারের পর সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ছবি ও ভিডিও দেখে রাতুলকে শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর তাকে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে তাকে। এর আগে গত বছরের ১৩ নভেম্বর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় রাতুল।
এদিকে গতকাল দুপুরে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে নামে রাতুল। পরে স্থানীয় লোকজন পুকুরে তাকে ভাসতে দেখেন। দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাতুলের বাবা ফারুক মিয়া বলেন, রাতুল শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল। কনটেইনারে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার আগেও আগুনে তার হাত-পা পুড়ে যায়। ওই সময় অর্থসংকটে তার ভালোভাবে চিকিৎসা হয়নি। দেশে ফেরার পর সে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিনি আরও বলেন, দিনমজুরির কাজে শনিবার তিনি বাইরে ছিলেন। খবর পেয়ে বাড়িতে এসে লাশ দেখতে পান। রাতুল অসুস্থ থাকায় ডুব দিয়ে আর উঠতে পারেনি। এতে সে মারা যায়।
ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান খবর পেয়ে রাতুলের বাড়িতে যান। তিনি বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়েছে।