পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

জামায়াতে ইসলামের পঞ্চগড় জেলা শাখার সেক্রেটারি ও একটি মাদ্রাসার সুপার মো. দেলোয়ার হোসেনকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল এলাকায় বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় মো. দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার দেলোয়ার পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট।

আজ শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ মিঞা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে দেলোয়ার হোসনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর পঞ্চগড় শহরে বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে।

গত ২৪ ডিসেম্বর পঞ্চগড় জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বেলা আড়াইটার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। মিছিল বের করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা করে। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকলে পুলিশ দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় পুলিশের সদস্যসহ অর্ধশত মানুষ আহত হন। এদিকে পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনার সময় মিছিলে আসা আবদুর রশিদ আরেফিন (৫০) নামে বিএনপির এক নেতার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ ও লাশের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।

এ ঘটনায় ২৫ ডিসেম্বর সকালে পঞ্চগড় সদর থানায় পুলিশের পাঁচজন উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলামসহ ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি পৃথক পাঁচটি মামলা করেন। এসব মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়।