রূপগঞ্জে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ একজনের মৃত্যু

লাশ
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি বহুতল ভবনে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ সোনা উদ্দিন (৪৬) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তারিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। নিহত সোনা উদ্দিনের বাড়ি হবিগঞ্জে। বোনের সঙ্গে রূপগঞ্জের আউখাবো এলাকায় ভাড়া থাকতেন তিনি।

চিকিৎসক তারিকুল ইসলাম বলেন, সোনা উদ্দিনের শরীরের ৯৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ ঘটনায় দগ্ধ একই পরিবারের আরও চার সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁরা হলেন—নিহত সোনা উদ্দিনের বোন হাসন বানু (৫৫), দুলাভাই অলি আহমেদ (৬৫), ভাগনে ওমর ফারুক (১৫) ও ভাগনি সাহেরা বেগম (২৪)। তাঁদের মধ্যে হাসন বানুর ৪৬ শতাংশ, অলি আহমেদের ৫৮, সাহেরার ৩০ ও ওমর ফারুকের ১৫ শতাংশ শরীর দগ্ধ হয়েছে। তাঁদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গত শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার আউখাবো এলাকায় জাহাঙ্গীর মিয়ার তিনতলা ভবনের নিচতলায় জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাসাটিতে রান্নার কাজের জন্য তিতাস গ্যাসের সংযোগ আছে। গ্যাসলাইনে গ্যাসের চাপ কম থাকায় তারা একটি কম্প্রেসারের মাধ্যমে চাপ বাড়ানোর ব্যবস্থা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে গ্যাসের চাপ বেড়ে গিয়ে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে কক্ষে গ্যাস জমে যায়। পরে কোনো উপায়ে ঘরে আগুনের স্পার্ক হলে ঘরটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কক্ষে থাকা পাঁচজনই দগ্ধ হন।