আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে শোকজ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মেহেরপুর-১ (মেহেরপুর সদর এবং মুজিবনগর উপজেলা) আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) পাঠিয়েছে জেলার নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। আজ রোববার মেহেরপুরের যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির জেলা শাখার সভাপতি মো. কবির হোসেন এ নোটিশ পাঠান।
আগামী মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় জেলা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে প্রার্থীকে সশরীর অথবা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধিকে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী গতকাল শনিবার মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজার বাসভবনের সামনে নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় তিনি সরকারি গাড়ি ও পুলিশ প্রটোকল নিয়ে উপস্থিত হন, যা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা ২০০৮–এর বিধি ১২ ও ১৪(২)–এর লঙ্ঘন।
নির্বাচন কমিশনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণবিধিমালার ১২ ধারায় বলা আছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এর আগে ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ নেই
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণবিধিমালার ১৪ ধারার ১–এ বলা হয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাঁর সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী কর্মসূচি বা কর্মকাণ্ড যোগ করতে পারবেন না।
ফরহাদ হোসেন মেহেরপুর–১ আসনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর তাঁকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এবার ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন এবং জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের বাবুল জাম, জাকের পার্টির সাইদুল আলম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির তরিকুল ইসলাম।