নোয়াখালীতে আগুনে দগ্ধ হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় আগুনে দগ্ধ হয়ে স্বামী–স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে স্বামীর এবং রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্ত্রীর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন নিমাই চন্দ্র মজুমদার (৭০) ও তাঁর স্ত্রী মিলন বালা মজুমদার (৬২)। তাঁরা হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জোড়খালী গ্রামের মুনদার বাড়ির বাসিন্দা।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আজমল হুদা আজ শনিবার সকালে দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে রান্নাঘরের চুলা থেকে বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ সময় দগ্ধ হন ওই দুজন। শুক্রবার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল পাঁচটায় কুমিল্লা এলাকায় নিমাই চন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পৌঁছার পর রাত ৯টার দিকে স্ত্রী মিলন বালা মারা যান।
হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জহির উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নিমাই চন্দ্র মজুমদার স্থানীয় একটি বাজারে চায়ের দোকান করতেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তিনি দোকান থেকে বাড়িতে যান। তিনি বাড়িতে ফেরার পর স্ত্রী চুলায় রান্না গরম করেছিলেন। রাতে দুজন খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পর হঠাৎ চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে বসতঘরটি এবং এর সঙ্গে থাকা একটি গোয়ালঘর মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ‘আগুনে ঘরে থাকা নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলন বালা মজুমদারেরও শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। পরে দুজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া তাঁদের গোয়ালঘরে থাকা চারটি গরু পুড়ে মারা গেছে। ঘটনার সময় নিমাই চন্দ্রের ছেলেসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা সুবর্ণচরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন।’
জানতে চাইলে হাতিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বাড়িতে আগুন লাগার এ ঘটনা তাঁদের জানানো হয়নি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।