নেত্রকোনায় ছাত্রলীগের আট মিনিটের ঝটিকা মিছিল
নেত্রকোনার পূর্বধলায় ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। আজ শনিবার সকালে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের বালুচরা বাজার এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসাইনের নেতৃত্বে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জেলায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে এই প্রথম মিছিল বের করা হয়।
শাহাদত হোসাইন নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেনের ছোট ভাইয়ের ছেলে। ছাত্রলীগের এই ঝটিকা মিছিলের ভিডিও পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজ থেকে শেয়ার করা হয়। এ ছাড়া শাহাদত হোসাইনের ফেসবুকে আইডি থেকেও ওই ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘দেশরত্ম শেখ হাসিনার নামে মিথ্যা মামলা ও নেত্রকোনা-৫ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আহমদ হোসেনের মুক্তির দাবিতে বালুচরা বাজারে প্রতিবাদ মিছির করে উপজেলা ছাত্রলীগ।’
শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, শাহাদত হোসাইন মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁর পেছনে ২০ থেকে ২৫ জন নেতা-কর্মীও স্লোগান দিচ্ছেন। তবে ওই সব নেতা-কর্মীর কারও মুখে মাস্ক, কারও মাথায় হেলমেট, আবার কারও মাথা-মুখ মাফলার দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। ভিডিওতে দেখা গেছে, শাহাদত হোসেন ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শেখ শেখ শেখ মুজিব, লও লও লও সালাম’, ‘কে বলে রে মুজিব নাই, মুজিব ছাড়া দেশ নাই’, ‘মুজিব আমার চেতনা, মুজিব আমার বিশ্বাস’, ‘শেখ হাসিনা আসবে, রাজপথ কাঁপবে’, ‘শেখ হাসিনার বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে’, ‘শেখ হাসিনা সরকার, বারবার দরকার’, ‘উন্নয়নের সরকার, মুক্তিযুদ্ধের সরকার’, ‘গণমানুষের সরকার, বারবার দরকার’, ‘শেখ হাসিনার কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’, ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, আহমদ ভাইয়ের মুক্তি চাই’—এসব কথা বলে স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরাও স্লোগান দিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আজ সকাল পৌনে আটটার দিকে হঠাৎ কয়েকজন তরুণ একত্র হয়ে স্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করেন। তবে তাঁরা কোনো রকম উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেননি। প্রায় আট মিনিটব্যাপী মিছিল শেষে তাঁরা মোটরসাইকেলে চলে যান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহদাত হোসেনের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে জেলার আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন। এ ছাড়া জেলার ১০টি উপজেলায় গত ১৭ আগস্ট থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৪০টি মামলা করেছেন। এসব মামলায় পুলিশ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
ছাত্রলীগের এই ঝটিকা মিছিলের ভিডিও পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের ফেসবুকের ভেরিফাইড পেজ থেকে শেয়ার করা হয়। এ ছাড়া শাহাদত হোসাইনের ফেসবুকে আইডি থেকেও ওই ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেখানে লেখা হয়-‘দেশরত্ম শেখ হাসিনার নামে মিথ্যা মামলা ও নেত্রকোনা-৫ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আহমদ হোসেনের মুক্তির দাবিতে বারুচরা বাজারে প্রতিবাদ মিছির করে উপজেলা ছাত্রলীগ।’
শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, শাহাদত হোসাইন মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিচ্ছেন। তাঁর পেছনে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনের মতো নেতা-কর্মীও শ্লোগান দিচ্ছেন। তবে ওই সব নেতা-কর্মীদের কারও মুখে মাস্ক, কারো মাথায় হেলমেট, আবার কারও মাথা-মুখ মাফলার দিয়ে প্যাচানো ছিল। ভিডিওতে দেখা গেছে, শাহাদত হোসেন জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ শেখ শেখ মুজিব লও লও লও সালাম। কে বলে রে মুজিব নাই, মুজিব ছাড়া দেশ নাই। ...মুজিব আমার চেতনা, মুজিব আমার বিশ্বাস। শেখ হাসিনা আসবে, রাজপথ কাঁপবে। শেখ হাসিনার বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা সরকার, বারবার দরকার। উন্নয়নের সরকার, মুক্তিযুদ্ধের সরকার, গণমানুষের সরকার, বারবার দরকার। শেখ হাসিনার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে। মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই আহমদ ভাইয়ের মুক্তি চাই। তাঁর সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরাও এসব শ্লোগান দিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আজ শনিবার সকাল পৌনে আটটার দিকে হঠাৎ করে কয়েকজন তরুণ একত্র হয়ে শ্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করেন। তবে তাঁরা কোনোরকম উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেননি। প্রায় আট মিনিটব্যাপী মিছিল শেষে তাঁরা মোটরসাইকেলে চলে যান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহদাত হোসেনের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে জেলার আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছে। এ ছাড়া জেলার ১০টি উপজেলায় গত ১৭ আগস্ট থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৪০টি মামলা দায়ের করেছন। এসব মামলায় পুলিশ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।