নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী-জনতার ওপর হামলা, নাশকতা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের জারিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রেজুয়ানুর রহমান ওরফে রনি। তিনি ধলামূলগাঁও ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেছিলেন।
এদিকে গতকাল বিকেলে থানায় মামলাটি করেন একই ইউনিয়নের বাশাঢী গ্রামের বাসিন্দা সাদেক মিয়া। মামলায় রেজুয়ানুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার কাছ থেকে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে রেজুয়ানুর রহমান জারিয়া বাজার এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ওই দিন বিকেলে তাঁকে প্রধান আসামি করে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার বাদী সাদেক মিয়া এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের ঘাগড়াপাড়া শালদিঘা সেতু এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান আসামিরা। এ সময় রেজুয়ানুর একটি রাইফেল দিয়ে দুটি গুলি ছোড়েন। এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
আজ সোমবার রেজুয়ানুরকে আদালতে নেওয়ার কথা আছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াদ মাহমুদ।
১৭ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত নেত্রকোনায় ১০টি থানায় বিভিন্ন অভিযোগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৪১টি মামলা হয়েছে।