বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম বাতিল করে গেজেট, নতুন নাম এখনো ঠিক হয়নি

যমুনা নদীর ওপর নির্মিত রেলসেতুর পশ্চিম পাড় এলাকা পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম। আজ শুক্রবার সকালে সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদেছবি: প্রথম আলো

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্ব-স্ব এলাকার জায়গার নামেই বিভিন্ন স্থাপনার নাম দিতে আগ্রহী। যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত রেলওয়ে সেতুটির ক্ষেত্রেও তা–ই হতে পারে। তবে এখনো কোনো নাম চূড়ান্ত হয়নি। ইতিমধ্যে যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নাম বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ এলাকায় সেতুর পশ্চিম পাড় এলাকা পরিদর্শনের সময় এ কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম। রেলপথসচিব বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে এ সেতুর উদ্বোধন হবে। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে।’  

সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অর্থ সাশ্রয় বিষয়ে রেলপথসচিব বলেন, এ প্রকল্পে কোনো অর্থ সাশ্রয় হয়েছে কি না, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এ সময় সেতুটির নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তৎকালীন সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলওয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৬ হাজার ৭৮১ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা।  

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নাম দিয়ে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। জাপানের আইএইচআই, এসএমসিসি, ওবায়েশি করপোরেশন, জেএফই এবং টিওএ করপোরেশন—এই পাঁচ প্রতিষ্ঠান তিনটি প্যাকেজে সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছে। নির্মাণ ব্যয়ের মধ্যে ৭২ শতাংশ অর্থ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।