কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর অন্তত সাতটি জেলায় হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। ঘটেছে পাল্টা হামলার ঘটনাও। ফরিদপুর, বরিশাল, ঝিনাইদহ, কিশোরগঞ্জ, দিনাজপুর, রাজশাহী কলেজ ও নওগাঁ সরকারি মেডিকেল কলেজে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষে অন্তত ৬৮ জন আহত হয়েছেন। এসব হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
পুলিশের সামনেই হামলা
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি মহল্লার ব্রহ্মসমাজ সড়কে অবস্থিত ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এ সময় আহত হয়েছেন ছয়জন আন্দোলনকারী। পুলিশের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের হামলায় আহত দুজনকে ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আবরাব নাদিম (২৬) এবং গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইইই) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কাজী নিশাত (২৫)। বাকিরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে তাঁদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি।
ঘটনার সময় সেখানে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রায় ২৫ জনের বেশি পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে কম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ব্রহ্মসমাজ সড়কেই আন্দোলনকারীদের অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে বলেন ওসি হাসানুজ্জামান।
বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় শহরের আলাউদ্দিন কমিউনিটি সেন্টারের দিক থেকে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অমিত বিশ্বাসের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতা–কর্মী ২৫-৩০টি মোটরসাইকেলে করে বিকট শব্দে হর্ন বাজিয়ে ঘটনাস্থলে আসার চেষ্টা করেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছাত্রলীগের মহড়া ব্রহ্মসমাজ সড়কের ইউনিকেয়ার প্রাইভেট হাসপাতালের সামনে এলে তাঁদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ সময় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি হাসানুজ্জামান আনুমানিক ৫০ মিটার দূরে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে নির্বাক দাঁড়িয়ে ছিলেন। পুলিশ সদস্যদের পাশ কাটিয়ে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা দৌড়ে এসে আন্দোলনকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে বেলা একটার দিকে একদল তরুণ শহরের গোয়ালচামট মহল্লা এলাকার ভাঙা রাস্তার মোড়ে জড়ো হলে পুলিশ তাদের সেখান থেকে হটিয়ে দেয়। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিএম কলেজে ছাত্রলীগের হামলা
বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মিছিলে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজের মসজিদ গেটের সামনে এ হামলা হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত সাতজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আহতদের সার্জারি ইউনিটে রেখে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বরিশাল বিএম কলেজে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। তবে বিএম কলেজ ছাত্রলীগের পরিচয়ে নেতৃত্ব দেন এস এম সাউদ নামের একজন শিক্ষার্থী। তিনি হামলার বিষয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কতিপয় শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে স্লোগান দিচ্ছিল। এ জন্য তাদের ধাওয়া দেওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছু না।’
হামলায় আহত আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দাদা ও নানা দুজনই মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু আমি কোটা চাই না। সরকারি চাকরি পেতে চাই মেধা ও যোগ্যতা।’ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমি মিছিলে ছিলাম। মুঠোফোনে মিছিলের ভিডিও ধারণ করছিলাম। এ সময় রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা হয়। হামলার সময় ছাত্রলীগের স্লোগান দিচ্ছিল হামলাকারীরা।’
ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের মিছিল থেকে হামলা
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে শহর থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাত্রলীগের একটি মিছিল বের করে। তাদের মিছিল থেকে অতর্কিতভাবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের এলোপাতাড়িভাবে পেটানো হয়, তাঁদের মাইক ভাঙচুর করা হয়। পরে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শিক্ষার্থীরা। হামলায় আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
ঘটনার পর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আল ইমরানের নেতৃত্বে শহরে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে শহরের পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান বলেন, যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রলীগও আছে জানিয়ে রাজাকার স্লোগানটি না দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু সকালে আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়ে সেই স্লোগানই দিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে যান আল ইমরান। সেখানে হামলা হয়েছে, তবে কোনো সাধারণ ছাত্রের ওপর হামলা হয়নি। রাজাকারের ওপর হামলা হয়েছে।
আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের মধ্যে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মো. শাহীন উদ্দীন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
কিশোরগঞ্জে পাল্টাপাল্টি হামলা
কিশোরগঞ্জে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ, নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সামনে স্মৃতিসৌধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টা থেকে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা শহরে মিছিলের উদ্দেশ্যে জড়ো হতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সামনে স্মৃতিসৌধে দাঁড়িয়ে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও কোটাবিরোধী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী অভি চৌধুরী বক্তব্য দেন এবং শিক্ষার্থীদের মিছিলের জন্য প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানান।
এ সময় জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক ও রড নিয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। আন্দোলনকারীরা দিগ্বিদিক দৌড়াতে থাকেন। পরে আন্দোলনকারীরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করেন। ঘটনার প্রায় আধা ঘণ্টা পর সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তবে পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ও কোটা আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী অভি চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক ও রড নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আন্দোলনের মাধ্যমে এর সঠিক জবাব দেওয়া হবে।’
রাজশাহী কলেজে হামলা
রাজশাহী কলেজে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত সব শিক্ষার্থীর নাম–পরিচয় জানা যায়নি।
রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসিক দত্ত বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ক্যাম্পাসে এত দিন চলেছে। ছাত্রলীগ কিছুই বলেনি। কিন্তু তাঁদের নেত্রীকে নিয়ে কথা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অবমাননা করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ এসব মেনে নিতে পারে না।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ আবদুল খালেক প্রথম আলোকে বলেন, ক্যাম্পাস স্বাভাবিক আছে। শিক্ষার্থীদের ক্লাসও নেই দুপুরের পর। তাই তাঁরাও চলে গেছেন।
দিনাজপুরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলা
দিনাজপুরে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দুজন ক্যামেরা পারসনসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
দুপুরে শহরের প্রবেশমুখ দিনাজপুর সরকারি কলেজ মোড়ে অবরোধকারীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে ১৫-২০টি মোটরসাইকেলে মিছিল নিয়ে অবরোধকারীদের মুখোমুখি হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতা–কর্মী। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীরা হাতে লাঠি, লোহার রড ও ইটপাটকেলসহ আন্দোলনকারীদের ওপরে চড়াও হন। এ সময় কয়েকজনের মাথায় হেলমেট পরা ছিল। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সরকারি কলেজ মোড়, সুইহারি, মির্জাপুর এলাকায় হাতে লাঠি, রডসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীদের শোডাউন ও স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, শহরের উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আছেন। যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
নওগাঁয় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা
নওগাঁ সরকারি মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন চার শিক্ষার্থী। আজ বেলা ১১টার দিকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের সামনে মানববন্ধনে এ ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের সামনে মানববন্ধন শুরু করেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শুরুর কিছুক্ষণ পর নওগাঁ মেডিকেল কলেজে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। এতে অন্তত চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মেডিকেল কলেজের মূল ফটকের সামনে বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করছিলেন। হঠাৎ ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা এসে হামলা চালান।
নওগাঁ মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন শুরু করি। এতে ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।’
এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।