সিলেটে মন্ত্রী-এমপিদের বাসভবন ভাঙচুর, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আগুন

বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা সেনা সদস্যদের। আজ সোমবার বিকেলে সিলেট নগরেছবি: প্রথম আলো

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আজ সোমবার সিলেটের বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর প্রচারিত হওয়ার পরপরই মিছিল নিয়ে একদল মানুষ নগরের শাপলাবাগ এলাকায় যান। সেখানে প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীর বাসভবন ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

পৃথকভাবে আরও কয়েকটি দল নগরের পূর্ব শাপলাবাগ এলাকায় সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, গোপালটিলা এলাকায় অবস্থিত সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) রণজিত চন্দ্র সরকার এবং সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সহসভাপতি আসাদ উদ্দিনের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায়।

এ ছাড়া নগরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত অনেক ব্যবসায়ীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিমের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মাহাতে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। সিলেটে সবচেয়ে বড় কয়েকটি কাপড়ের দোকানের মধ্যে এটি একটি। নগরের নয়াসড়ক এলাকায় প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ তাঁর বাসায় ভাঙচুরের বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আজ বেলা তিনটার দিকে নগরের বন্দরবাজার এলাকায় অবস্থিত সিলেটের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়।

হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে জানতে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. জাকির হোসেন খানের মুঠোফোনে কল করলে তিনি কেটে দেন। পরে মহানগর পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের দুজন কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল করলে তাঁরাও ধরেননি।

এদিকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার খবরে সিলেটে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ছাত্র-জনতা মিছিল করছেন। বৃষ্টিতে ভিজে হাজার হাজার মানুষ নগরের বিভিন্ন রাস্তায় বিজয় মিছিল বের করেন।