চট্টগ্রামে কাঁচা মরিচের কেজি হাজার ছুঁয়েছে

চট্টগ্রামে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়। আজ দুপুরে নগরের চকবাজারেছবি: প্রথম আলো

সরবরাহ না থাকায় চট্টগ্রামের বাজারে কাঁচা মরিচের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সে হিসাবে, প্রতি কেজির দাম পড়ছে এক হাজার টাকা। অন্যদিকে পাইকারি আড়তে এদিন কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়নি সরবরাহ না থাকায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের বাজারে অধিকাংশ সবজি আসে বগুড়া, ফরিদপুর, জামালপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে। বন্যার কারণে তিন দিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রামে যান চলাচল প্রায় বন্ধ। এতে চট্টগ্রামের বাজারে কাঁচা মরিচ আসছে না। ফলে বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে পণ্যটির। এ সুযোগে দাম বাড়িয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।

সরেজমিনে চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম। গুটিকয় দোকানে দেশি কিছু কাঁচা মরিচ ঝুড়িতে করে বিক্রি হচ্ছে। এসব দোকানে প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। দাম শুনেই অনেক ক্রেতা কাঁচা মরিচ কিনছেন না।

বাজারে কথা হয় বেসরকারি কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার বাজারে ৬০০–৬৫০ টাকা চাওয়া হয়েছিল কাঁচা মরিচের কেজি। আজ এসে দেখলাম এক হাজার টাকা কেজি। বৃহস্পতিবার কিনেছিলাম ২৮০ টাকা কেজি। সেগুলো দিয়ে কিছুদিন চালিয়ে নিতে হবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরের বহদ্দারহাট, কাজীর দেউড়ি ও কর্ণফুলী কমপ্লেক্স বাজারে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। তবে এসব বাজারেও কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম। রেয়াজুদ্দিন বাজার সবজির আড়তে কাঁচা মরিচের সরবরাহ না থাকায় খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে।
আজ শনিবার খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রামের বৃহত্তম সবজির বাজার রেয়াজুদ্দিন বাজারের গুটিকয় আড়তে কাঁচা মরিচ ছিল। সেগুলো ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারে গত দুই দিন কাঁচা মরিচ আসেনি। এর কারণে সংকট দেখা দিয়েছে।

রেয়াজুদ্দিন বাজারের মেসার্স মেম্বার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে গত দু-তিন দিন কাঁচা মরিচ আসেনি। মহাসড়কে যানজটের কারণে পণ্য নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে সংকট দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার প্রতি কেজির দাম ১৭০–২৮০ টাকার মধ্যে ছিল। এখান বাজারে কাঁচা মরিচ নেই।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরবরাহ না থাকলে দাম বাড়তি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন অনেকেই। বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’