নাইক্ষ্যংছড়িতে মারমা কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

ধর্ষণপ্রতীকী ছবি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ১৫ বছরের এক মারমা কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীটি বাড়ি থেকে বের হয়ে হাত-মুখ ধোয়ার জন্য খালে যায়। খালের যাওয়ার সিঁড়িতে মো. সেলিম (২৩) ও মতিউর রহমান (২৫) নামের দুজন ছিলেন। কিশোরী সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় মো. সেলিম তাকে ধরে পাশের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করেন। তখন মতিউর সিঁড়িতে বসে পাহারা দেন।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বড় ভাই বলেন, পার্শ্ববর্তী লোকজন কিশোরীকে ধরে ঝোপে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছেন। তাঁরা জানানোর পর খোঁজাখুঁজি করে ঝোপে কান্নারত অবস্থায় কিশোরীকে পাওয়া যায়। তখন অভিযুক্ত সেলিম পালিয়ে গেলেও পাহারায় থাকায় মতিউরকে পাড়াবাসী আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে। রাতে অভিযান চালিয়ে সেলিমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসরুরুল হক বলেন, ধর্ষক ও ধর্ষণের সহযোগী দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।