চোরাই পিকআপকে ২১ খণ্ড করে বিক্রির চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৫
চট্টগ্রামের হালিশহর থেকে একটি পিকআপ চুরি করে ফেনীর সোনাগাজীতে এনে বিক্রির চেষ্টাকালে পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে সোনাগাজী-ফেনী সড়কের পৌরসভার তুলাতলী এলাকার আকাশ ডেন্টিং ওয়ার্কশপ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে তাঁরা গাড়ির যন্ত্রাংশ খুলে ২১ খণ্ড করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছিলেন। আজ রোববার দুপুরে তাদের পাঁচজনকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আজাদ হোসেন (২৩), সালা উদ্দিন কাদের (২৪), আবদুল আজিজ (২৪), মো. হাসান (১৯) ও ফরহাদুল ইসলাম (২২)। তাঁরা ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও দাউদকান্দি এলাকার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে সবাই চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা এলাকায় অবস্থান করেন। পুলিশ বলছে, তাঁরা আন্তজেলা গাড়ি চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য।
আজ দুপুরে ফেনীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান। এ সময় তিনি বলেন, গতকাল ভোর রাতে চট্টগ্রামের হালিশহর থেকে একটি পিকআপ চুরি করে সোনাগাজীতে নিয়ে আসেন কাদের, আজিজ, হাসান ও ফরহাদুল। পরে পৌরসভার তুলাতলী এলাকার আকাশ ডেন্টিং ওয়ার্কশপের মালিক আজাদ হোসেনের কাছে নিয়ে গাড়িটির যন্ত্রাংশ খুলে ও কেটে ২১ টুকরা করে রেখে যান। গতকাল সন্ধ্যায় খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুব আলম সরকার ওয়ার্কশপে অভিযান চালিয়ে আজাদকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, রাতে গাড়ির টুকরাগুলো ভাঙারি দোকানে বিক্রি করার কথা ছিল। এ ঘটনায় এসআই বাদী হয়ে থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহাদাৎ হোসেন, সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. তাসলিম হুসাইন, সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় প্রমুখ। ২১ টুকরা করা গাড়িটির মালিক কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মো. নিজাম উদ্দিন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় থেকে গাড়ির ব্যবসা করে আসছেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার পাঁচজনই গাড়ি চুরির কথা স্বীকার করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবারও একইভাবে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং এলাকা থেকে আরেকটি পিকআপ গাড়ি চুরি করে সোনাগাজীতে নিয়ে আসেন তাঁরা। পরে পুলিশের গাড়ি দেখে পিকআপটি রেখে পালিয়ে যান। ওই গাড়িটি ডবলমুরিং থানা-পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও দাউদকান্দি থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।