হাতীবান্ধায় ছাগল বাঁচাতে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ছাগল বাঁচাতে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে নুর আমিন (১৮) নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলা বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্বসারডুবী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় নুর আমিনকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর ভগ্নিপতি জাহেদুল ইসলাম (৩৫) আহত হয়েছেন। বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত নুর আমিন উপজেলার বড়খাতা বিএম কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্বসারডুবী গ্রামের আবদুল মতির ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, আবদুল মতির গ্রামের বাড়িতে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে গতকাল রাতে একটি ছাগল পড়ে যায়। আবদুল মতির ছেলে নুর আমিন ওই সেপটিক ট্যাংকে মই দিয়ে নেমে ছাগলটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এ সময় নুর আমিন ওই সেপটিক ট্যাংকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে ভগ্নিপতি জাহেদুল ইসলাম নুর আমিনকে উদ্ধারের জন্য সেপটিক ট্যাংকটিতে নামার চেষ্টা করলে তিনিও সেখানে আটকে যান। খবর পেয়ে তাঁদের উদ্ধারের জন্য উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে যান। পরে শ্যালক-দুলাভাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের নিলে নুর আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
বাড়ির নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে গতকাল রাতে একটি ছাগল পড়ে যায়। নুর আমিন ওই সেপটিক ট্যাংকে মই দিয়ে নেমে ছাগলটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) সায়েদ মোহাম্মদ ইমরান বলেন, সেপটিক ট্যাংক থেকে দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে তাঁরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জেনেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দিলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’