নলছিটিতে শ্রমিক লীগের কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইমরান হোসেন (৩২) নামের উপজেলা শ্রমিক লীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত নয়টার দিকে পৌরসভার নান্দিকাঠি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ইমরান উপজেলার ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল সমিতির সভাপতি। তিনি উপজেলার খাজুরিয়া এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে। ইমরানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর বড় ভাই মো. রাসেল হাওলাদার।
ইমরানের স্বজনদের অভিযোগ, ইমরানের চাচাতো ভাই আল আমিন জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এ সময় আরও ছয়–সাতজন লোকজন ছিলেন। আল আমিন খাজুরিয়া এলাকার ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও ইমরানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার রাতে ইমরান ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। নান্দিকাঠি এলাকায় পৌঁছালে পথে রশি টানিয়ে ইমরানের পথরোধ করেন চাচাতো ভাই আল আমিনের নেতৃত্বে ছয়–সাতজন ব্যক্তি। ইমরান মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন তাঁরা। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ইমরানের বড় ভাই রাসেল হাওলাদার জানান, ‘আমার চাচাতো ভাই আল আমিন হাওলাদারসহ ছয় থেকে সাতজন ইমরানকে রশি দিয়ে টেনে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেয়। পরে আমার ভাইকে এমন কোপান কোপাইছে, হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে আল আমিনের নাম বলে গেছেন ইমরান।’
রাসেল হাওলাদার আরও বলেন, আল আমিন এক বছর আগে বাড়িতে প্রবেশ করে ইমরানসহ তাঁর স্ত্রী ও বাবাকে কুপিয়ে জখম করেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা চলছে। সেই থেকে ক্ষুব্ধ হয়েই আল আমিন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনার পর এলাকাবাসী ধাওয়া করলে আল আমিন দলবল নিয়ে পালিয়ে যান।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী বলেন, ইমরানের লাশ বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।