সংঘর্ষের পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়েও দুপক্ষের মারামারি, আহত ১০

বসতভিটার বিরোধ নিয়ে গ্রামে সংঘর্ষ হয় দুটি পক্ষের। আহত ব্যক্তিদের নিয়ে হাসপাতালে যান তাঁদের স্বজনেরা। সেখানে আবারও দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালে। আজ রোববার চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ঘটেছে এমন ঘটনা। দুই দফা মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

আহত ব্যক্তিরা হলেন শহর বানু (৬০), মো. কামাল হোসেন (৩২), সুমি আকতার (১৬), নেজাম উদ্দিন (২৮), মোহাম্মদ টিপু (২৮), মো. ইরফান (২২), মোহাম্মদ ইসহাক (৩৫), মোহাম্মদ মফিজ (২৫), মো. আনোয়ার (২৪) ও সুমি আকতার (২৫)। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মোহাম্মদ ইসহাককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, সকাল আটটার দিকে উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খুরুস্কুল এলাকায় বসতভিটা নিয়ে স্থানীয় দুটি পক্ষের বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষ জড়ালে ২–৩ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনেরা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থানকালে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন আবারও একে অন্যের ওপর চড়াও হন।

আহত ব্যক্তিদের একজন নেজাম উদ্দিন বলেন, জায়গাজমি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে চাচা মোহাম্মদ ফয়েজের বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্র করে সকালে বাড়িতে এক দফা হামলার পর হাসপাতালে আবার হামলা চালিয়ে তাঁদের অন্তত ছয়জনকে আহত করা হয়েছে। তবে প্রতিপক্ষের মো. আনোয়ার বলেন, হাসপাতালে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তাঁরা হামলা করেননি।

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জরুরি বিভাগের সামনে দুই পক্ষের লোকজন হকিস্টিক ও রড নিয়ে মারামারি শুরু করেন। এ সময় আমরা হাসপাতালের ফটক বন্ধ করে দিয়েছি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

আনোয়ারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’