চার লেনে উন্নীত হচ্ছে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়ক
কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কুমিল্লা ও চট্রগ্রামের সঙ্গে সিলেটের যোগাযোগ মসৃণ হবে। এর ফলে কুমিল্লাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে। এ মহাসড়ক ব্যবহার করে মালামাল আনা-নেওয়া করবে ভারত।
মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেকের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প একটি। এ জন্য ৭ হাজার ১৮৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা এবং ২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা ভারত থেকে ঋণ নেওয়া হবে। চলতি অর্থবছরেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে ২০২৬ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা আছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কের কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাস থেকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার সড়ক আছে। সড়কটি মাত্র ১৮ ফুট প্রস্থ হওয়ায় মালবাহী যান চলাচলে সমস্যা হয়। সিলেটের পাথর কোয়ারি থেকে কুমিল্লা ও চট্রগ্রামে এই পথ দিয়ে পাথর আনা হয়। সড়কটি সরু (সংকীর্ণ) হওয়ায় বিভিন্ন সময় যান চলাচল ব্যাহত হয়। এ ছাড়া ওই মহাসড়ক দিয়েই কুমিল্লা থেকে সিলেটগামী বাস চলাচল করে থাকে।
দেবীদ্বার নিউমাকের্ট এলাকার বাসিন্দা এ বি এম আতিকুর রহমান বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিকল্প হিসেবে মহাসড়কটি ব্যবহৃত হয়। এ মহাসড়ক দিয়ে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও চাঁদপুরের বাস সিলেট, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে যাতায়াত করে। গুরুত্ব অনুযায়ী সড়কে এত দিন স্থায়ী কোনো মেরামতের কাজ হয়নি। নতুন প্রকল্পের কারণে সড়কের পরিধি বাড়বে।
জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, একনেকের সভায় কুমিল্লা–ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন মহাসড়কের প্রস্থ হবে ৩৪ দশমিক ৬ মিটার। আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে মালামাল নিয়ে এ সড়ক ব্যবহার করবে বিভিন্ন পণ্যবাহী বাহন। ভারত সরকার এ প্রকল্পে ঋণ দেবে।