কুষ্টিয়া–৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুব উল আলম হানিফের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ারের পোলিং এজেন্ট ও কর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে, মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে পুনরায় নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার।
আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়ায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। আমার পোলিং এজেন্টদের মারধর ও কর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে নিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহবুব উল আলম হানিফের কর্মীরা।’ এ ব্যাপারে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানালেন।
আরও পড়ুনঃ
সারা দেশে ৩টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে গড়ে ২৬ দশমিক ৩৭%
নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর লাঙ্গলের প্রার্থীর ভোট বর্জন
ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ারের অভিযোগ, অধিকাংশ কেন্দ্রের বাইরে নৌকার কর্মীরা তাঁদের এজেন্টকে কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকতে ভয়ভীতি দেখান এবং বাধা দেন। কেউ কেউ ঢুকতে পারলেও ভোট গ্রহণ শুরুর পরপরই তাঁদের মারধর করেন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। কুওয়াতুল ইসলাম আলিয়া মাদ্রাসা আমলাপাড়ায় নারী পোলিং এজেন্টটের কাছে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র ছিঁড়ে বের করে দেওয়া হয়, এর প্রমাণ তাঁদের কাছে আছে। হরিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মিলন মণ্ডল পোলিং এজেন্টদের বের করে দেন। আব্দালপুর ইউনিয়নের হাসানবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পোলিং এজেন্টকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া বিষ্ণুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জিয়ারখী, ঝাউদিয়া, বটতৈল, আলামপুর, হরিনারায়ণপুর, গোস্বামী দূর্গাপুর, মনোহরদিয়া, পাটিকাবাড়ি ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন ও পৌরসভা অন্তর্গত শতাধিক কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে বলে পারভেজ আনোয়ারের দাবি। এ কারণে তিনি ভোট গ্রহণ স্থগিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।