ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনা: একটি লাশের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৭ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি একটি লাশের পরিচয় আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিটি পুরুষ। বয়স ৪০ থেকে ৪৫ বছর হতে পারে।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার মধ্যে একজন ছাড়া বাকি মরদেহ স্বজনেরা এসে নিয়ে গেছেন। কারও ময়নাতদন্ত করা হয়নি। একজনের পরিচয় না পাওয়ায় লাশটি রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য রেলওয়ে পুলিশ লাশটি কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, লাশটি থেঁতলানো ছিল। চেহারা খুব ভালোভাবে চেনা যায় না। নানা প্রক্রিয়ায় পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ভৈরব রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া আন্তনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনের পেছনে বিপরীত দিক থেকে আসা মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়, আহত শতাধিক। এ ঘটনায় মালবাহী ট্রেনের চালক, সহকারী চালক ও পরিচালককে (গার্ড) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রেলওয়ের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত দল গঠন করা হয়। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা আজ ভৈরবে এসে মাঠপর্যায়ে তদন্তের কাজ করবেন বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় খুঁজে বের করার জন্য কয়েক দিন অপেক্ষা করা হবে। চেষ্টা করা হবে মরদেহ স্বজনদের কাছে তুলে দেওয়া যায় কি না।