সাঁথিয়ায় ভাগনের বিরুদ্ধে মামাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

পাবনার সাঁথিয়ায় পূর্ববিরোধের জেরে আবদুর রাজ্জাক সরদার (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে তাঁর ভাগনে শহিদুল ইসলাম (৪০) পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার করমজা চতুরহাটে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুর রাজ্জাক উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের সোনাতলা পশ্চিম পাড়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ী। তবে চিকিৎসকেরা প্রাথমিকভাবে তাঁর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাননি। পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা অভিযোগ করেন, দুপুরে করমজা চতুরহাটে গরু কিনতে যান আবদুর রাজ্জাক সরদার। এ সময় তাঁর ভাগনে শহিদুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত হন। আগে থেকেই মামা-ভাগনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গরুর হাটে মামাকে দেখে ভাগনে তাঁর ওপর চড়াও হন। কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে শহিদুল তাঁর মামাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক ব্যক্তি জানান, শহিদুল তাঁর মামা আবদুর রাজ্জাককে মারার জন্য ধাওয়া করলে তিনি দৌড়ে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং একপর্যায়ে মারা যান।

রাজ্জাকের মেয়ে হাসি খাতুন বলেন, ‘আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’

বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জান্নাত বলেন, ‘আবদুর রাজ্জাককে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছিল। আমরা তাঁর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাইনি। ময়নাতদন্ত করলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি হত্যাকাণ্ড কি না, পরিষ্কার নয়। হাসপাতালের প্রাথমিক প্রতিবেদনে ওই ব্যক্তির মৃত্যু কোনো আঘাতে হয়নি বলে জানানো হয়েছে। এরপরও আমরা মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত নেওয়া হবে।’