কলেজের বোর্ডে ছাত্রলীগের ভয়ংকর রূপে ফিরে আসার বার্তা, ৩ কর্মচারী গ্রেপ্তার
নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের বিষয়ে প্রচারের ঘটনায় ওই কলেজের তিন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তে কলেজ কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কলেজের ছয়তলা ভবনের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ছাত্রলীগ নিয়ে একটি লেখা ভেসে ওঠে। সেখানে লেখা ছিল, ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। শেখ হাসিনা আবার আসবে বীরের বেশে।’
এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া কর্মচারীরা হলেন কলেজের কম্পিউটার অপারেটর মাহাবুবুর রহমান ও পরান কাজী এবং নৈশপ্রহরী এস এম আরিফুজ্জামান। তাঁরা সরকারি কর্মচারী নন। কলেজ তাঁদের মাস্টাররোলে নিযুক্ত করেছিল।
কলেজ–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই লেখার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা কলেজে এসে তখনই বিক্ষোভ মিছিল করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি করে। তাঁরা শহরেও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এলাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু রিয়াদ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কামরুননাহার লিনা আজ রোববার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পরপরই ওই ডিজিটাল সাইনবোর্ডের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এই অনভিপ্রেত ঘটনার তদন্তের জন্য ইউএনওর সঙ্গে আলোচনা করে কলেজের প্রভাষক মো. নুরুজ্জামানকে অহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন প্রভাষক এস এম তারিকুল আলম ও উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং অ্যান্ড রিসোর্স সেন্টার ফর এডুকেশনের সহকারী প্রোগ্রামার নাছিম ছায়াদাত। ওই কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে অধ্যক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘শনিবারই ওই দুই কম্পিউটার অপারেটরকে খবর দিয়ে কলেজে আনা হয়। এরপর গভীর রাতে নৈশপ্রহরীসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নেওয়া হয়। পরে আজ রোববার দুপুরে তাঁদের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’