বিষ মেশানো গম খেয়ে মারা গেল অর্ধশতাধিক কবুতর
নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের চন্দ্রকলা গ্রামের মাঠ থেকে আজ সোমবার বিকেলে অর্ধশতাধিক মৃত কবুতর উদ্ধার করা হয়েছে। কবুতরের মালিকদের অভিযোগ, জমিতে রাখা বিষ মেশানো গমবীজ খেয়ে এসব কবুতর মারা গেছে।
চন্দ্রকলা গ্রামের রাজু ইসলাম (২২) জানান, তাঁর ৪০টি কবুতর আছে। একই গ্রামের তারেক কবিরাজ, জনি হোসেন, রায়হান কবিরাজ, মোজাম্মেল হক, আসিফ হোসেন ও সবুজ আলীর দুই শতাধিক কবুতর আছে। সোমবার সকালে পাখিগুলো মাঠে খাবার খেতে বের হয়। প্রতিদিন কবুতরগুলো দুপুরের পরপরই বাড়িতে ফিরে আসে। বিকেলেও পাখিগুলো না আসায় তাঁরা মাঠে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এ সময় তাঁরা দেখেন, বাবু ইসলামের গমের জমির আশপাশে ৫২টি কবুতর মরে পড়ে আছে। সন্ধ্যা নাগাদ সব কবুতর বাড়িতে ফেরেনি। এতে তাঁদের সন্দেহ, মৃত কবুতরের সংখ্যা বাড়তে পারে।
তারেক কবিরাজের ৩২টি কবুতর ছিল। তিনি বলেন, বাবু ইসলাম পাখির হাত থেকে গমবীজ রক্ষার জন্য বিষ মিশিয়ে তা জমিতে বপন করেছিলেন। বিষয়টি তিনি গ্রামের কাউকে জানাননি। এমনকি জমিতে সতর্কতামূলক কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বাবু ইসলাম বলেন, তিনি ছাড়াও গ্রামের আরও কয়েকজন পাখির অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য গমের বীজের সঙ্গে কিছু পাউডার মিশিয়েছেন। ওই পাউডারে কবুতর মারা যাওয়ার কথা নয়। তবে কী পাউডার মিশিয়েছেন, তা তিনি বলতে পারেননি।
আসিফ হোসেন ও সবুজ আলী জানান, মোট কত কবুতর মারা গেছে, তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা কবুতর খোঁজা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাই এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিতে পারেননি। তবে মুঠোফোনে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করেছেন। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁদের পরিবারের শিশু-কিশোরেরা মৃত কবুতরগুলো জড়ো করে মাটিচাপা দিয়েছে।
তেবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। মঙ্গলবার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কী করা যায়, তা ঠিক করবেন।