মুক্তাগাছায় মহাসড়কে যুবলীগ কর্মীর লাশ রেখে বিক্ষোভ
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত যুবলীগের কর্মী আসাদুজ্জামানের বিচারের দাবিতে মহাসড়কে লাশ রেখে বিক্ষোভ করেছেন নেতা-কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে মুক্তাগাছা থানার সামনে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। পুলিশ বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
নিহত আসাদুজ্জামান মুক্তাগাছা উপজেলার তারাটি পূর্বপাড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। তিনি মুক্তাগাছা উপজেলা যুবলীগের কর্মী ছিলেন। গতকাল সোমবার রাতে মুক্তাগাছা পৌর শহরের আটানি বাজারে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত মামলা হয়নি বলে জানান মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর আজ বিকেলে আসাদুজ্জামানের লাশ মুক্তাগাছায় নেওয়ার পর যুবলীগের নেতা-কর্মীরা লাশ মুক্তাগাছা থানার সামনে রেখে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা আসাদুজ্জামান হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান। পরে মুক্তাগাছা থানা-পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের নিবৃত্ত করে আসাদুজ্জামানের লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ফারুক হোসেন বলেন, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেওয়ার পর বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
গতকাল রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মুক্তাগাছা পৌর শহরের আটানি বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে চান পান করছিলেন নিহত আসাদুজ্জামান ও তাঁর বন্ধু নাহিদ। এ সময় ১৫ থেকে ২০ জন দুর্বৃত্ত তাঁদের ওপর হামলা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। পরে আসাদুজ্জামানকে একটি নর্দমায় ফেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আসাদুজ্জামান ও নাহিদকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসাদুজ্জামান মারা যান। নাহিদ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মুক্তাগাছা থানার ওসি আবদুল মজিদ বলেন, দুই পক্ষের বিরোধের জেরে আসাদুজ্জামানকে হত্যা করা হয়েছে। তবে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।