নড়াইলে লুট হওয়া মালামাল ফেরত দিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএনপি নেতাদের আহ্বান
নড়াইলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লুট হওয়া মালামাল ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের মাছিমদিয়া এলাকায় তাঁরা এ কার্যক্রম চালান।
এই আহ্বান জানানোর পর প্রায় দুই ঘণ্টায় ওই এলাকা থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকার লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি বিএনপির নেতাদের। তাঁরা জানান, উদ্ধারকৃত মালামাল নড়াইল পৌরসভার মাছিমদিয়া এলাকার পালকি কমিউনিটি সেন্টারের।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নড়াইলের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার বাড়িসহ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও নেতাদের ঘরবাড়িতে হামলা করা হয়। এ সময় শহরের মাছিমদিয়া এলাকায় অবস্থিত পালকি কমিউনিটি সেন্টারেও ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মাছিমদিয়া এলাকায় বিএনপি, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ওই এলাকার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে লুট হওয়া মালামাল ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তাঁদের আহ্বান শুনে বিভিন্ন বাড়ি থেকে খাট, চেয়ার, টেবিল, সোফাসেট, এসি, ফ্যান, থালাবাটিসহ বিভিন্ন জিনিস এনে লোকজন রাস্তায় জড়ো করছেন। সেখান থেকে ভ্যান করে তা প্রকৃত মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
সেখানে কথা হয় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে। তাঁরা প্রথম আলোকে বলেন, পালকি কমিউনিটি সেন্টারের মালিক অলোক কুণ্ডুর মালামাল ওই দিন (৫ আগস্ট) রাতে দুষ্কৃতকারীরা লুট করে। মালামাল কোথায় আছে এর সন্ধান পেয়ে তিনি জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে বিএনপির লোকজন এখানে আসেন। এখান থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। যাঁরা এই মালামাল লুট করেছিলেন, বিএনপির সঙ্গে তাঁদের কোনো সংযোগ নেই।
মাছিমদিয়া এলাকার বাসিন্দা রাজিব হোসেন বলেন, ‘সেদিন লুটপাটের মালামাল যারা নিয়েছিল, তাদের বুঝিয়ে বলার পর সব মাল ফেরত দিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া অন্য এলাকার যারা নিয়েছে, সেখানে উদ্ধার অভিযান চালালে আরও মালামাল উদ্ধার হতে পারে।’
ক্ষতিগ্রস্ত পালকি কমিউনিটি সেন্টারের মালিক অলোক কুণ্ডু বলেন, ভাঙচুর ও লুটপাটে তাঁর প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লুট হওয়া কিছু মাল ইতিমধ্যে উদ্ধার করে দিয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বাকি মালামাল উদ্ধারেও তাঁরা সহযোগিতা করছেন।