ভৈরবে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১

লাশ
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে মেন্দিপুর গ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য শেফায়েত উল্লাহ ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি তোফাজ্জল হোসেন পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম জহিরুল্লাহ (৫০)। তিনি উপজেলার মেন্দিপুর গ্রামের সাহু মিয়ার ছেলে। তিনি শেফায়েত উল্লাহ পক্ষের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শেফায়েত উল্লাহ বর্তমানে সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। তোফাজ্জল হোসেন একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। দুজনই ইউনিয়নটির মৌটুপি গ্রামের বাসিন্দা। দুজনের মধ্যে অনেক বছর ধরে আধিপত্য ও রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল। বছরে একাধিকবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এসব সংঘর্ষে বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত সাদেকপুর ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণ শেফায়েত উল্লাহর ছিল। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তোফাজ্জল হোসেন এলাকায় সরব হন। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এলাকায় মিছিল ও সভা করেন। সভা থেকে শেফায়েত উল্লাহকে সতর্ক করেন এবং চ্যালেঞ্জ ছোড়েন। সভা শেষ হওয়ার পর মেন্দিপুর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। এ ঘটনার জেরে আজ দুপুর ১২টার দিকে মেন্দিপুর গ্রামে উভয় পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে জহিরুল্লাহ বুকে বল্লম বিদ্ধ হয়ে মারা যান।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, জহিরুল্লাহ বল্লম বিদ্ধ হন। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।

এ বিষয়ে জানতে শেফায়েত উল্লাহর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি। তবে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তোফাজ্জলের লোকজন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালান। হামলার সময় বল্লমের আঘাতে জহিরুল্লাহ মারা গেছেন।

এ বিষয়ে তোফাজ্জল হোসেন বলেন, মেন্দিপুর গ্রামের সংঘর্ষের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। খুনের মিথ্যা মামলার আসামি করার জন্য প্রতিপক্ষ তাঁর নাম জড়াচ্ছে।
এদিকে দেশে চলমান অস্থিরতায় ভৈরব থানায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর পর থেকে পুলিশ সদস্যরা থানাছাড়া। সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।