গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের দাবি, ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের জয় বাংলা চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সৎ, দক্ষ ও তারুণ্যদীপ্ত একাডেমিশিয়ানকে উপাচার্য হিসেবে দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান। নিয়োগের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টাকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন তাঁরা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত না হলে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফায়েকুজ্জামান মিয়া, প্রক্টর কামরুজ্জামান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাজিব আহমেদ, ছাত্র উপদেষ্টা ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরাফত আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর শরীফ সরকার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইদ্রিস আলি, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের আজিজুর রহমান, মার্কেটিং বিভাগের সোহেল আহমেদ প্রমুখ। কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদুল হক।
মানববন্ধনে ফায়েকুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আমরা জেনেছি পাঁচ শ শিক্ষক উপাচার্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তাহলে কেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ হাজার শিক্ষার্থী ও ৩০০ শিক্ষক আছে। আড়াই মাস যাবৎ উপাচার্য না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষকেরা বেতন ভাতা পাচ্ছেন না এবং তাঁদের আপগ্রেডেশন বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিভাবক না থাকায় শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমরা চাই একজন যোগ্য, সৎ, দক্ষ তারুণ্যদীপ্ত একাডেমিশিয়ানকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়ে এ অচলাবস্থা নিরসন করা হোক।’
শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে উপাচার্য চেয়ে আবেদন করেছি। অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে আমরা অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছি এবং শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে।’