সেতুর মালামাল চুরির মামলায় ছাত্রলীগ সভাপতি কারাগারে
বরগুনার বেতাগী উপজেলায় সরকারি একটি সেতুর মালামাল চুরির ঘটনায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার মোকামিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জালাল গাজী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন মোকামিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাওন মৃধা, সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন খান, মো. সাইদুল মৃধা (২৫), মো. শাকিল (১১), মো. মাহাবুব (৩০), মো. মাসুম (৩০) ও মো. রাইহান (২৪)।
এর আগে সেতুর মালামাল চুরির পরদিন গত বৃহস্পতিবার রাতে মোকামিয়া এলাকার নিজ বাসা থেকে মো. শাওন মৃধাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নেয় বেতাগী থানার পুলিশ। পরে চেয়ারম্যানের করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে মোকামিয়া ইউনিয়নের মাছুয়াখালি বাজারের পুরোনো একটি সেতুর লোহার ১২টি বিম চুরি হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান জালাল গাজী ঘটনাটি বেতাগী থানার পুলিশকে জানালে তারা মালামাল উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন মৃধাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। শাওন চুরির বিষয়টি স্বীকার করলে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চুরি হওয়া ৯টি লোহার বিম বরিশালের কাশিপুর এলাকার একটি ভাঙ্গারি দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পুরোনো সেতুর মালামাল চুরির ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান জালাল গাজী বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় শাওনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।