হেডফোনে গান শুনছিলেন তিন বন্ধু, ট্রেনের ধাক্কায় একজনের মৃত্যু

নিহত সোহেল রানা
ছবি: সংগৃহীত

হেডফোন কানে গুঁজে গান শুনতে শুনতে তিন বন্ধু রেলসেতু পার হচ্ছিলেন। হঠাৎ ট্রেন চলে আসে। দুই বন্ধু লাফ দিয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও অপর বন্ধু ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার রাত পৌনে সাতটার দিকে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা সদরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণের নাম সোহেল রানা (২৫)। তিনি উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল সাকিদার পাড়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।

রেলওয়ে সেতু পার হওয়ার সময় তাঁরা কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছিলেন। হঠাৎ ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন চলে আসে।

সান্তাহার রেলওয়ে থানা ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, সোহেল রানা তাঁর দুই বন্ধুর সঙ্গে রাত পৌনে সাতটার দিকে নলডাঙ্গা রেলওয়ে সেতু পার হচ্ছিলেন। এ সময় তাঁরা কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছিলেন। হঠাৎ ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন চলে আসায় দুই বন্ধু লাফ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যান। তবে সোহেল রানা ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং নিহত তরুণের মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজিনা আক্তার ও নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন বলেন, তাঁরা স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, সোহেল রানা ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেলেও তাঁর দুজন বন্ধু লাফ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যান। তবে ওই দুই বন্ধুর পরিচয় জানা যায়নি।