রাজশাহীর সাবেক এমপি রাহেনুল হকের জামিন নামঞ্জুর
রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রাহেনুল হকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঘা-চারঘাট আমলি আদালত-১–এর বিচারক শরিফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এর আগে গত শনিবার চারঘাট উপজেলা বাজার থেকে রাহেনুল হককে গ্রেপ্তার করে চারঘাট থানা–পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারে ছিলেন তিনি। এরপর জামিন শুনানির জন্য আজ তাঁকে আদালতে তোলা হয়।
রাহেনুল হকের আইনজীবী মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘উনি সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। ক্যানসারের রোগীও। বয়স ৭০-এর কাছাকাছি। যে মামলায় ওনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এজাহারে তাঁর নাম নেই। এসব বিবেচনায় তাঁর জামিন চাই। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৬ আগস্টের একটি ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর চারঘাট থানায় একটি মামলা হয়। মামলা করেন চারঘাটের বড়বাড়িয়া গ্রামের মো. উজ্জল হোসেন (৩০)। পেশায় তিনি একজন ভ্যানচালক। তিনি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। মামলায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে। রাহেনুল হককে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাহেনুল হক জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। ২০০০ সালে উপনির্বাচনে তিনি রাজশাহী-৬ আসনের এমপি নির্বাচিত হন। পরে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে শাহরিয়ার আলমের কাছে রাহেনুল হক পরাজিত হন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৬ আগস্ট চারঘাট বাজার মোড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের গায়েবানা জানাজা হয়। সেখান থেকে ফেরার পথে হল মোড়ে আসামাত্রই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনী পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশি অস্ত্র, হকিস্টিক, শটগান দিয়ে হামলা করে। আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। জানাজায় অংশগ্রহণকারী বাদীর সঙ্গে থাকা অন্যরা পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় রামদা দিয়ে রাকিব (২৪) নামের একজনকে কোপানোর পাশাপাশি পিটিয়ে জখম করা হয়। আসামিরা ঘটনাস্থলে বিভিন্ন দোকানপাটে ভাঙচুর চালিয়ে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেন। এ সময় তাঁরা বাদীর ভ্যানগাড়ি ছিনিয়ে নেন, যার মূল্য ৫৫ হাজার টাকা।