অটোরিকশার ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা করিমের (রাচি) মৃত্যুর ঘটনায় ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল পৌনে সাতটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কটি ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছেন তাঁরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাঁরা নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করাসহ আট দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন। তাঁদের কর্মসূচি চলাকালে ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হবে না।
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে আছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই কাঠামোগত হত্যার যথাযথ বিচার করতে হবে; পর্যাপ্ত সড়কবাতি, ফুটপাত ও গতিরোধক স্থাপন করতে হবে এবং যানবাহনের গতি পরিমাপ রাখতে হবে; নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে যথাযথ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; মেডিকেল সেন্টারের জরুরি সেবার মানোন্নয়ন করতে হবে; নিবন্ধনহীন সব যানবাহন ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে; সব রিকশাচালকের প্রশিক্ষণ থাকা সাপেক্ষে নিবন্ধন দিতে হবে; অদক্ষ নিরাপত্তাকর্মীদের প্রত্যাহার করতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল করতে হবে।
ব্লকেড কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী দুর্বার আদি প্রথম আলোকে বলেন, প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল ক্যাম্পাসের মেডিকেলে উপযুক্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করা। একজন শিক্ষার্থী যদি ক্যাম্পাসে আহত হন, তাঁকে ক্যাম্পাসের মেডিকেলে নেওয়ার পর তাঁর যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা। আফসানার ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। এটাকে প্রশাসনের ব্যর্থতা হিসেবে দেখতে হবে। ক্যাম্পাসে শুধু রিকশা নয়, মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণের কোনো পদক্ষেপও নেই। নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে তাঁরা জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন।
ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী লামিশা জামান বলেন, ‘গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, সেটাকে আমরা কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলে চিহ্নিত করছি। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আমরা আট দফা দাবি জানিয়েছি। আজকের কর্মসূচি সকাল পৌনে সাতটার দিকে শুরু করেছি। এর আগে বিভিন্ন হলে হলে মাইকিং করেছি আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে।’