বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম, বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়িত থাকার অভিযোগ

সেলিম রেজাছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক এক সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধর, হাত-পা ভাঙার পাশাপাশি কুপিয়ে মাথায় জখম করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার সয়দাবাদ পুনর্বাসন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাঁর স্বজনদের অভিযোগ, চাঁদা না পেয়ে বিএনপির নেতা–কর্মীরা এই হামলা করেছেন।  

আহত ওই ব্যক্তির নাম সেলিম রেজা। তিনি সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, একই ইউপির সাবেক সদস্য ও বাসিন্দা। সেলিমের পরিবারের দাবি, বিএনপির স্থানীয় কয়েকজন নেতা-কর্মীরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তাঁকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দুই পায়ের রগ কেটে দেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে তাঁকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে।

সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাঁর অবস্থা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।

ঘটনার প্রসঙ্গে সেলিমের ছেলে আবদুল জলিল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (গতকাল) সকালে বিএনপির ৩০-৩৫ জন নেতা-কর্মী আমাদের বাড়ির সামনে থেকে বাবাকে জোর করে একটি ব্যাটারিচালিত অটো ভ্যানে তুলে নিয়ে যান। এরপর তাঁরা বাবাকে পিটিয়ে দুই পা, ডান হাত ভেঙে ফেলে দুই পায়ের রগও কেটে দেন। তাঁরা বাবার মাথায় কুপিয়ে জখম করে অচেতন অবস্থায় ফেলে যান। পরে স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।’

সেলিম রেজাকে একটি হত্যা মামলার আসামি করায় গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানান সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তিন–চার দিন আগে বাড়িতে ফিরেছিলেন। বাড়ি ফেরার পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁর কাছে ২০ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করেন। এ অর্থ না দেওয়ায় তাঁকে তুলে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এমন মারধর করেছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং বিচার দাবি করছি।’

তবে সেলিমকে মারধরের ঘটনার সঙ্গে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সেলিম রেজা দুটি হত্যা মামলার আসামি, এমনটি আমি জানি। সরকার পতনের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। এটুকুই আমি জানি।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।