২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মুন্সিগঞ্জে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার সভা করেন উপজেলার কামারখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর হালদার। পরে সভার ছবি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মুন্সিগঞ্জ-২ (টঙ্গিবাড়ী-লৌহজং) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাগুফতা ইয়াসমিনের (এমিলি) পক্ষে ভোটের প্রচার চালিয়েছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। আজ মঙ্গলবার সকালে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর হালদার ইউনিয়নের অস্থায়ী কার্যালয়ে একটি রাজনৈতিক প্রচার সভার আয়োজন করেন।

দুপুরে ওই প্রচার সভার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আজ সকালে সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি আন্টির পক্ষে নৌকার প্রচারণা সভায় ১৪০ পরিবারের আলোচনা।’

আরও পড়ুন

নির্বাচন কমিশনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণবিধিমালার ১২ ধারায় বলা আছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এর আগে ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ নেই।

কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লুৎফর হালদার সভার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। চেয়ারম্যান বলেন, তিনি আনুষ্ঠানিক কোনো সভা করেননি। কোনো মাইকিংও করেননি। তাঁদের পরিচিত লোকজন নিয়ে এ সভা করেছেন। সভায় আগামী নির্বাচন কীভাবে করা যায়, সে বিষয় নিয়ে ওই নারীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন বলেন, ‘এটা আপনিও জানেন লঙ্ঘন হয় কি না।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন কোনো না কোনো এলাকায় প্রার্থী অথবা তাঁর লোকজন গণসংযোগ ও সভা করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। ফেসবুক ওয়ালে সেগুলো পোস্ট করছেন। কেউ কেউ প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। এসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. রাশেদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আচরণবিধি দেখার জন্য আলাদা করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া আছে। ইউপি চেয়ারম্যানের প্রচার সভার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।