সমন্বিত প্রচেষ্টায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে: ত্রাণ উপদেষ্টা

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম। আজ শুক্রবার সকালেছবি: প্রথম আলো

বন্যায় যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণ করে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম।

আজ শুক্রবার সকালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের শালচূড়া গ্রামে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এ কথা জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক–ই–আজম বলেন, মহারশি নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা বিষয়টি দেখবেন। বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বারবারই আসতে পারে। তাই জনদুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে মহারশি নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব ততটুকু করা হবে।

উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঝিনাইগাতী উপজেলার ৪৫টি পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী এবং ৫০টি পরিবারের মধ্যে ১০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।

এ সময় শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাফিজা বেগম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার দিদারুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন রাসেল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।